পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার
কাশীনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ
বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুধবার ও
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় কক্ষ
পরিদর্শক আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে
নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট
আগে খাতা কেড়ে নেয়ার সুস্পষ্ট
অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক
সাঁথিয়া উপজেলার পাইকপাড়া
সরকারি (নব্য) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষক।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের
অভিযোগে জানা গেছে, ২৩ নভেম্বর
প্রাথমিক বিজ্ঞান পরীক্ষায় ২৬ নং
কক্ষ থেকে ১৫/২০ জনের এবং ২৪
নভেম্বর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
বিষয়ের পরীক্ষায় ২৭ নং কক্ষ থেকে
২০ জনের খাতা ওই শিক্ষক কেড়ে
নেন। তিনি পরীক্ষা চলাকালীন
পরীক্ষার্থীদের ধমকাতে থাকেন।
তিনি খাতা কেড়ে নেয়ার সময়
বলেন, ‘এত রিভাইজ দেয়ার কী আছে?’
তার ধমকানিতে পরীক্ষার্থীরা
খাতা দিয়ে দেয়। এ কক্ষগুলোতে
কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের
মেধাবী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা
দিচ্ছে বলে জানা গেছে। ওইসব
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকরা
জানান, তাদের সন্তান ও
শিক্ষার্থীদের এক মিনিট সময়ও
গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ১৫-২০ মিনিট
আগে ওই শিক্ষক খাতা কেড়ে
নেয়ার অধিকার রাখেন না।’ তারা
আরও জানান, তিনি যে ক্ষতি
করেছেন তা পূরণ হওয়ার নয়। কারণ ১
নম্বরের ব্যবধানের জন্যও কেউ এ প্লাস
কিম্বা প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি
হারাতে পারে।
এদিকে ওই শিক্ষকের ব্যাপারে
সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা
অফিস সূত্র জানায়, তিনি এমন একজন
অযোগ্য শিক্ষক যার পরীক্ষার খাতা
দেখার যোগ্যতা নেই আবার তার কক্ষ
পরিদর্শক হবারও যোগ্যতা নেই। তিনি
তদ্বির করে ডিউটি নিয়ে থাকতে
পারেন। তার আগের কর্মস্থল
কলাগাছি সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক চ্যালেঞ্জ
দিয়ে জানান, তিনি ইংরেজী
দুরের কথা বাংলাও ভালোভাবে
রিডিং পড়তে পারেন না।
কাশীনাথপুর এলাকার ৭/৮টি কিন্ডার
গার্টেন ও সরকারি প্রাথসিমক
বিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও
অভিভাবক গতকাল বৃহস্পতিবার
পরীক্ষার পরে ওই শিক্ষক আব্দুস
সালামের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন।
তোপের মুখে ওই শিক্ষক পালিয়ে
যান তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি
দেয়ার দাবি উঠেছে।