পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২ ডিসেম্বর পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়। ৪ ডিসেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। ৯ ডিসেম্বর রাতে তাঁকে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।
ওই ছাত্রী গতকাল প্রথম আলোকে বলে, সন্ধ্যায় রাস্তায় বের হওয়ার পর গাড়িচালক মো. মহসিন তাঁকে আচার খেতে দেন। এরপর সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে মহসিন মাদারীপুরে তাঁর বোনের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হয়। গত শুক্রবার রাতে মহসিনের স্ত্রী তাকে বরিশালের বাসায় দিয়ে যান।
ছাত্রীটির বাবা বলেন, ‘আজ (গতকাল শনিবার) বেলা ১১টায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসার কথা বলেছেন সাবেক কাউন্সিলর আ ন ম সাইফুল ইসলাম।’
সাইফুলের মালিকানাধীন টোটাল গ্যাসের ডিপোতে মো. মহসিন গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি পুরো ভিত্তিহীন। এ রকম অভিযোগ আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা। আমি কোনো সালিসিতে ছিলাম না।’
জেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম বলেন, ‘খবর পেয়ে বেলা সাড়ে তিনটায় ছাত্রীটির বাড়িতে গিয়েছিলাম। মেয়েটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) গোলাম রউফ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনেছি বিষয়টি নিয়ে সালিস হয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনায় সালিসের সুযোগ নেই। ওই কিশোরীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’