সমাপনী পরীক্ষায় নকলে সহায়তা করায় দুই শিক্ষককে অর্থদণ্ড
এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার্থীদের নকলে সহায়তা করার অপরাধে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কর্তব্যরত দুই শিক্ষককে নগদ ২নহাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ওই শিক্ষকদের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চলমান এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় আজ বুধবার সকালে উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১ নম্বর কক্ষে ওই ইউনিয়নের বেলঘর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা, ভুশ্চি হাবিবিয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এনামিয়া লতিফিয়া মহিলা মাদ্রাসার ৫৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিল। এ সময় আরবী পরীক্ষায় কক্ষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের ভুলইন কাঁচারী বাজার এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও নার্গিস আক্তার।পরীক্ষা চলাকালে দুপুর ১টায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রুপালী মণ্ডল ওই কেন্দ্রের ১ নম্বর কক্ষে পরিদর্শনে গেলে পরীক্ষার্থীরা তাদের কাছে থাকা আরবী বিষয়ের লেখা নকল টেবিলের নিচে ফেলে দেয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও ইউএনও রুপালী মণ্ডল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষা সমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ১২ ধারায় দায়িত্বরত শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও নার্গিস আক্তারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে মোট ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে।
এ সময় ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই অমর চন্দ্র দাসসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কেন্দ্র সচিব ও গৈয়ারভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী সেলিম জাহাঙ্গীর পরীক্ষার্থীদের নকলে সহায়তা করার অভিযোগে ওই শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও রুপালী মন্ডল বলেন, পরীক্ষায় নকল করা বা সহায়তা করাকে কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধীদের আরো কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।