বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬

'পরিবার কখনোই বুঝতে চাইবে না যে ভুলটা আমি করি নাই'

ফাইল ছবি। ছবি-আরেফ

আমরা যতটা পারি নিজেদেরকে মানিয়ে চলার চেষ্টা করি। রাস্তাঘাটে কেউ বিরক্ত করলে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি । নিজেরাই সেটাকে ট্যাকল করার চেষ্টা করি। হ্যাঁ আমি যখন স্কুলে গিয়েছি অনেক ছেলেই বিরক্ত করেছে। একবার বিষয়টা বাসায় জানানোর পরে বুঝে ফেললাম আমি বড় একটা ভুল করে ফেলেছি। কি ভুল, কেন ভুল? বাসায় কথাটা বলার পরে আমার জগতকে সংকোচিত করার চেষ্টা করা হলো, নানা নিয়ম সামনে দিয়ে দেওয়া হলো। এরপর থেকে আমি আর বাইরের কোনো ঘটনা বাসায় জানাতাম না,। কেন না আমার বারান্দায় যাওয়াও বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। নুন্যতম স্বাধীনতাও আমার আর থাকছে না। তাহলে কেন আমি বাসায় বলে নিজেকে বন্দী করে ফেলবো। পরিবার কখনোই বুঝতে চাইবে না যে ভুলটা আমি করি নাই।
আবার এটাও হতে পারে আমি যদি বাসায় বলি যে অমুক ছেলে আমাকে বিরক্ত করছে। তাহলে তারা আমাকে দোষারোপ করার পাশাপাশি বিরক্তকারীকারী ছেলেকেও শনাক্ত করবে। হুমকি ধামকি দেবে, ভয়ভীতি দেখাবে, মারধর করবে কিংবা আমার প্রশ্রয় খুঁজে বেড়াবে। যার কারণে ওই বখাটে আরো ক্ষেপে যাবে। এই ক্ষেপে যাওয়াই হয়তো আমার জন্য কাল হয়ে যাবে। অথচ আমার মতে ওই এই ধরনের ঘটনা ঘটলে ছেলেটাকে পরিবার থেকে শনাক্ত করতে পারে। এরপরে তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে এমনকি বাসায় আমন্ত্রণ করে খাইয়ে দাইয়েও বোঝানো যেতে পারে এ তোমার বোন। পরিবারের এইসব ব্যাপারে আন্তরিক হওয়া জরুরি। না হলে তো হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। তারপরে না হলে সোজা আইনের সহায়তা নেবে।
একবার আমি আমার এক বান্ধবীকে দেখেছি। সে বাসায় ছেলের বিরুদ্ধে নালিশ করেছে। পরেরদিন বান্ধবীর ভাই ছেলেটাকে আচ্ছামতো ধোলাই দিয়েছে। এর বেশকিছুদিন পরে আমার ওই বান্ধবী স্থানীয় ছেলেদের কারণে এমন বিপদে পড়ে যায় যার কারণে বহুদিন ওকে গৃহবন্দী জীবন যাপন করতে হয়। এরপরে তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
আমি কখনোই এসব বলবো না। এসব বললেও উলটো কথা আমাকে শুনতে হবে। পরিবার কখনোই বুঝতে চাইবে না যে আমি সঠিক একটা কথা বলতে পারি।
*নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী