এদিকে, নুরি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে নিখোঁজের দুই দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটির লাশ চণ্ডিপুরের একটি পরিত্যক্ত জমির জঙ্গলের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য তা মর্গে পাঠানো হয়। ওইদিনই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক এনামুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, "শিশুটিকে ধর্ষণের পরই হত্যা করা হয়েছে। শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই হয়তো মেয়েটিকে হত্যা করা হয়। "
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর থেকে অ্যানি খাতুন নিখোঁজ হয়। এরপর থেকেই পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ-খবর করছিলেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন অ্যানির সন্ধান চেয়ে নগরীতে মাইকিং করেন। এরই মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে অ্যানিদের বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরেই প্রাচীর দিয়ে ঘেরা একটি পরিত্যক্ত জঙ্গলের মধ্যে অ্যানির লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে পরিবারের লোকজন এসে লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে।
নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আমান উল্লাহ বলেন, "মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু নুরি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার চাচা স্বপন আলী বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দায়েরকৃত ওই মামলায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃতের নাম বলা যাবে না। " ওসি আরো বলেন, "অ্যানির মরদেহের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া এ ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। "