সে বাইশখালী গ্রামের মো. আমির হোসেনের পুত্র ও ভাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। রবিবার মধ্যরাতে আগুন লাগানো ও মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, আমরা রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ উদ্ধার করে করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৃত শান্তের বাবা আমির হোসেন জানান, একটি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে তার মতবিরোধ চলছিল। প্রতিপক্ষের লোকজন একাধিকবার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আর বলেন, রবিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা ঘর থেকে বের হতে পারলেও শান্ত ঘর থেকে বের হতে পারেনি। ফলে আগুনে পুড়ে সে মারা যায়।
শান্তর মা সালমা বেগম জানান, আগুনে পুড়ে তার ছেলে মারা যায়। আগুনের সূত্রপাত হওয়ার মতো কোনো উপাদান ওই ঘর ও তার আশপাশে ছিল না। শত্রুতামূলকভাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় চারটি ঘর ভস্মীভূত হয় এবং ঘরের মধ্যে রক্ষিত নগদ অর্থ, আসবাবপত্রসহ সর্বস্ব পুড়ে যায়।