সোমবার সকালে তাকে বরিশালে আনা হয়। মহসিন মাদারীপুর সদর উপজেলার থানতলা গ্রামের বাচ্চু বেপারীর ছেলে। কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার মো. আজাদ রহমান বলেন, বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ৮ দিন আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১০ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মহসিন ও সহযোগিতা করায় মালিহা মালি নামে আরও একজনকে আসামি করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এমদাদুল বাশার মহসিনকে ভোলার শশীভূষণ থেকে আটক করেছে এবং অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। ৩০ হাজার টাকায় নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে গেছে।
ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গাড়িচালক মহসিন গত ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মহসিনের গাড়ির হেলপার মাসুদের স্ত্রী মালিহা এই কাজে তাকে সহযোগিতা করে। নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই স্কুলছাত্রীর বাসার সামনেই বরিশাল নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল আ ন ম সাইফুল আহসান আজিমের টোটাল গ্যাসের দোকান। মহসিন ওই দোকানের গাড়িচালক।