এখন আর শিশুরা সেভাবে রাতকানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে না। বাবা-মা সচেতন হলে সহজেই এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। প্রতিদিন শিশুকে ডিম-দুধ, কলা, লাল শাক, পেপে-গাজরসহ সবজি খিচুড়ি খাওয়ালে চিরদিনের জন্য রাতকানা রোগ নির্মূল হয়। এতে শিশুর প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ হবে।
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে শেরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা. মো. আনোয়ার হোসেন একথা বলেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে সিভিল সার্জনের সভাকক্ষে ৭ ডিসেম্বর আজ বুধবার দুপুরে এ সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিভিল সার্জন জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এবার শেরপুর জেলায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে এক লাখ ৯৮ হাজার ৩৯৯ শিশুকে ভিটামিন 'এ' টিকা খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ১২-৫৯ মাস বয়সী এক লাখ ৭৭ হাজার ৮২৯ জন শিশুকে লাল রঙের একটি ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল এবং ৬-১১ মাস বয়সী ২০ হাজার ৫৭০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এজন্য জেলায় এক হাজার ৪০৫টি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের টিকাদান কর্মী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও চার হাজার ২১২ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। এ ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে প্রচার-প্রচারণাসহ জনসচেতনতা বাড়াতে সংবাদ-নিবন্ধ প্রকাশসহ সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরার আহ্বান জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এ সময় শেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম মিয়া, সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নিলাদ্রি হোড়, প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার প্রমুখ বক্তব্য দেন। এতে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
